বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস। তবে আয়তনের স্বল্পতার কারণে এটিকে উপন্যাস না বলে উপন্যাসিকা বলা যেতে পারে। বড় গল্প বলাটা হবে অধিকতর শ্রেয়। তবে উপন্যাস, উপন্যাসিকা বা বড় গল্প যে নামেই এটিকে ডাকা হোক না কেন, একটা কথা মানতেই হবে যে জহির রায়হানের এই ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নিঃসন্দেহে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্তঝরা দিনের ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা রচনা।
বাংলা সাহিত্যের প্রথাবিরোধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ। বহুমুখী প্রতিভাধর বিশিষ্ট এই ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং সভাপতি। তার লেখার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, এর শব্দভাণ্ডার ও তাদের ইতিহাস। তার রচিত লাল নীল দীপাবলী, কতো নদী সরোবর, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র প্রভৃতি গ্রন্থ নিশ্চিতভাবেই সুদীর্ঘকাল ধরে আমাদের মাতৃভাষার ইতিবৃত্ত সম্বন্ধে সকল শ্রেণীর সকল বয়সের মানুষের জ্ঞানতৃষ্ণাকে তৃপ্ত করে যাবে এবং সমৃদ্ধ করবে বাংলার সাহিত্যভাণ্ডারকেও। লাল নীল দীপাবলী'র চমৎকারিত্ব তার নামেই রয়েছে। এটি লেখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে। হুমায়ুন আজাদ তার চমৎকার বাক্যশৈলীর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাসকে অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামনে। তার স্বভাবসুলভ আন্তরিকতার মাধ্যমে তিনি সময়ের গহ্বর থেকে পাঠকের জন্য খুঁজে এনেছেন লুইপা, কাহ্নপা থেকে আধুনিক যুগের কবি-সাহিত্যিকদে র, যাদের অবদানে জ্বলে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের লাল নীল দীপাবলী। লেখক নিজে বাংলা বিভাগের মেধাবী একজন শিক্ষক হওয়ায় সহস্রাধিক বছরের প্রা...
Comments
Post a Comment