Skip to main content

আমার অবিশ্বাস



এক বড় অশুভ সময় এসেছে পৃথিবীতে,যারা অন্ধ তারা সবচেয়ে বেশি দেখতে তো পাচ্ছেই ,তারা অত্যন্ত বেশি বিশ্বাস করছে,এবং পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বাসের মহামারী।এখন সবাই বিশ্বাস করছে, সবাই বিশ্বাসী,কারো পক্ষে এখন বলা সম্ভব হচ্ছেনা আমি বিশ্বাস করিনা,আমি অবিশ্বাস করি।বিজ্ঞানের এই অসাধারণ যুগে যখন কিছু অবিশ্বাসী সৌরলোক পেরিয়ে ঢুকতে চাচ্ছে মহাবিশ্বে,তখন পৃথিবী মেতে উঠেছে মধ্যযুগীয় বিশ্বাসে।”

বিজ্ঞানের বিল্পবের ফল আজকের এই পৃথিবী।এই ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনে নেই কোন অন্ধবিশ্বাস,কোন প্রথার ঠাই।মুক্তচিন্তা এবং অনুসন্ধিৎসা মিথ্যা ও সঙ্কটপূর্ণ পথকে কে অতিক্রম করে সত্যের দ্বারকে যখন উন্মেষিত করতে চাইছে প্রতিনিয়ত,ঠিক তখনি তথাকথিত বিশ্বাসীর দল মধ্যযুগীয় বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে পৃথিবীতে নিয়মিত কলহ বাঁধিয়েই চলছে।তার ফলস্বরূপ চারিদিকে ঘটে চলছে হত্যা,অনাচার,অশান্তি,ধ্বংস।যেন তারা বিভিন্ন মিথ্যা,প্রথার জালে ফেলে পৃথিবীকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতেই সধা ব্যাস্ত।যত অন্যায়ের মূলে এইসব অন্ধবিশ্বাস,প্রথা, রীতি বর্জন করা এখন অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


প্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদ “আমার অবিশ্বাস”, বইটির প্রতিটি পরিচ্ছেদে তিনি শুধু প্রথার বিরুদ্ধেই তার অবিশ্বাস দেখাননি,অনেক গভীরতম বিষয়েও তার অবিশ্বাসের কথা তিনি বলেছেন। যেন মনে হয় এই দেশে ওই সময়ে তিনিই বড় করে বলতে পারতেন ‘আমি অবিশ্বাসী’।

বইটির সাতটি পরিচ্ছেদের প্রতিটি পড়েই যেন নতুন চিন্তার জাগরণ হয়।তৃতীয় পরিচ্ছেদে তার অনুবাদ করা কীটসের কবিতা “ode to a nightingale” পড়ে মুগ্ধ হতে হয়।হুমায়ুন আজাদ তার এই দার্শনিক গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন বারটান্ড রাসেলকে।

বইটি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন 



Comments

Popular posts from this blog

লাল নীল দীপাবলি - হুমায়ুন আজাদ

বাংলা সাহিত্যের প্রথাবিরোধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ। বহুমুখী প্রতিভাধর বিশিষ্ট এই ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং সভাপতি। তার লেখার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, এর শব্দভাণ্ডার ও তাদের ইতিহাস। তার রচিত  লাল নীল দীপাবলী, কতো নদী সরোবর, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র  প্রভৃতি গ্রন্থ নিশ্চিতভাবেই সুদীর্ঘকাল ধরে আমাদের মাতৃভাষার ইতিবৃত্ত সম্বন্ধে সকল শ্রেণীর সকল বয়সের মানুষের জ্ঞানতৃষ্ণাকে তৃপ্ত করে যাবে এবং সমৃদ্ধ করবে বাংলার সাহিত্যভাণ্ডারকেও। লাল নীল দীপাবলী'র চমৎকারিত্ব তার নামেই রয়েছে। এটি লেখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে। হুমায়ুন আজাদ তার চমৎকার বাক্যশৈলীর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাসকে অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামনে। তার স্বভাবসুলভ আন্তরিকতার মাধ্যমে তিনি সময়ের গহ্বর থেকে পাঠকের জন্য খুঁজে এনেছেন লুইপা, কা‎হ্নপা থেকে আধুনিক যুগের কবি-সাহিত্যিকদে র, যাদের অবদানে জ্বলে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের লাল নীল দীপাবলী। লেখক নিজে বাংলা বিভাগের মেধাবী একজন ‌শিক্ষক হওয়ায় সহস্রাধিক বছরের প্রা...

জলপাই রঙের অন্ধকার

জলপাই রঙের অন্ধকার বাংলাদেশি  লেখক হুমায়ুন আজাদ  রচিত একটি সমালোচনা গ্রন্থ। ১৯৯২ সালে প্রথম বাংলাদেশের সময় প্রকাশন, ঢাকা থেকে এটি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে (ফাল্গুন, ১৪১৬  বঙ্গাব্দ ) একুশে গ্রন্থমেলায় আগামী প্রকাশনী, ঢাকা  থেকে এটি পূনরায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। হুমায়ুন আজাদ এই সমালোচনা গ্রন্থ উৎসর্গ করেছেন সানিয়া গফুর, সেগুফতা আহসান এবং মৌলি আজাদকে। বইটি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন ।  D  O W N L O A D   T H E   B O O K  

Bastard of Istanbul

As an Armenian American living in San Francisco, Armanoush feels like part of her identity is missing and that she must make a journey back to the past, to Turkey, in order to start living her life. Asya is a nineteen-year-old woman living in an extended all-female household in Istanbul who loves Jonny Cash and the French existentialists.  The Bastard of Istanbul  tells the story of their two families--and a secret connection linking them to a violent event in the history of their homeland. Filled with humor and understanding, this exuberant, dramatic novel is about memory and forgetting, about the need to examine the past and the desire to erase it, and about Turkey itself. D O W N L O A D   T H I S   B O O K